অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াস [ক] ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ছিল।[১] এটি ২০২১ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুম তৃতীয় নিম্নচাপ, দ্বিতীয় গভীর নিম্নচাপ, দ্বিতীয় ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস একটি ক্রান্তীয় নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল, যা ২৩ মে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ প্রথম পর্যবেক্ষণ করে।
ইয়াস ও ভরা কোটালের জন্য দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত। ১ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৫ লক্ষ ঘর ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। ১৩৪টি নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় সর্বোচ্চ বেগ ছিল ১৫৫ কিলোমিটার। \তার ফলে তাণ্ডব চললেও ওড়িশায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেল। দু'জনের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামও জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট অনেকটাই কম থাকল। কিন্তু ভরা কোটালের যুগলবন্দিতে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
আগে পূর্বাভাস ছিল বুধবার দুপুরের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ। কিন্তু গতি বাড়িয়ে বুধবার সকাল ৯টা ১৫ থেকেই শুরু হয় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া। ফলে পূর্ণিমা সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণ, ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়া প্রায় একই সময় হয়েছে। আর এই জোড়া ফলায় দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বেড়েছে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের। একদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর এলাকা জলমগ্ন, অন্য দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গ্রামে জল ঢুকেছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বস্তুত, আছড়ে পড়ার পর কয়েকঘণ্টা কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়,যশ। দিঘা ও সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে এক জনের। জলে ডুবে গিয়েছেন তিনি।সন্দেশখালি নামখানা পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, ক্যানিং ১, ২, বজবজ, দিঘা, শংকরপুর তাজপুর, রামনগর, কাঁথি, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা, দেশপ্রাণ, কোলাঘাট, শ্যামপুর, এদিকে কালীঘাট, চেতলা রাসবিহারী-সহ গঙ্গার সামনের এলাকা জলে প্লাবিত।হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় উপত্যকায়।অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফুঁসছে সমুদ্র এবং নদী। যার জেরে বানভাসী হয়েছে বিভিন্ন এলাকা।