আম্পান ঘূর্ণিঝড়ের উপকূলে আছড়ে পড়ার কেন্দ্রস্থল পশ্চিমবঙ্গে, আমফানের সবচেয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে আঘাত হানা, ঝড়গুলির মধ্যে এই ঝড়টি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল।[৫৫] আনুমানিক ৫ মিটার (১৬ ফুট) উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে উপকূলীয় সম্প্রদায়ের বিস্তৃত অংশ ডুবে গেছে এবং সেখানকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুন্দরবনে সর্বাধিক জলোচ্ছাস আশা করা হয়েছিল, যেখানে অভ্যন্তরীণভাবে বন্যা ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মাইল) প্রসারিত হতে পারে।[৫৮] উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে বাতাসের বেগ ১৫০–১৬০ কিমি/ঘ (৯৩–৯৯ মা/ঘ) পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছিল।[৫৫] কলকাতায়, ১৩৩ কিমি/ঘ (৮৩ মা/ঘ) বয়ে যাওয়া ক্ষতিকারক ঝড়ে বহু গাড়ি উল্টে যায় এবং গাছ পড়ে ভেঙ্গে যায়।[৫৫][৫৮] হুগলি জেলায় হাজার হাজার মাটির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।[৫৮] পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ৭২ জন মারা গিয়েছিল, কলকাতাতে ১৫ জন;[৫৪] বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে তড়িতাহত হয়ে বা বাড়িঘর ভেঙে পড়ার কারণে।[৫৯] দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ১০০ র বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বাঁধগুলি ভাঙ্গার ফলে গ্রাম ও ফসলি জমিতে বন্যার সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার চেয়ে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৮৮,০০০ হেক্টর (২১৭,০০০ একর) ধান এবং ২,০০,০০০ হেক্টর (৫০০,০০০ একর) শাকসবজি এবং তিলের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।[৫৯] কেবলমাত্র কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়ে ৫০০০ গাছ নষ্ট হয়েছে।[৬০] সরকার রাজ্যজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১ ট্রিলিয়ন ডলার (১৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বলে অনুমান করেছে।[৬১] আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে বহু দেশি বিদেশি দুস্প্রাপ্য গাছ,ফুল, পাখির বাসা সমেত ২৭০ বছরের পুরানো গিনেস বুক খ্যাত দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি বা বিশাল বটবৃক্ষ এই ঝড়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়